কানের ইনফেকশনের জন্য কোন ওষুধ ব্যবহার

 প্রিয় বন্ধুরা আপনারা কি কানের ইনফেকশনের জন্য কোন ঔষধ ব্যবহার করবেন সেটি খুঁজছেন ।অনেক খোঁজাখুজির পরেও কি সঠিক উত্তর জানতে পারছেন না?আর কোন সমস্যা নেই ,আমরা এই পোস্টটির মধ্যে জানতে পারবো কানে ইনফেকশনের জন্য কোন ঔষধ ব্যবহার করতে হয় এবং কানে কোন কোন রোগ হতে পারে এর জন্য আপনারা সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন

কানের ইনফেকশনের জন্য কোন  ঔষুধ  ব্যবহার

আমরা এই পোস্টটির মধ্যে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি কানে ইনফেকশনের জন্য কোন ওষুধ ব্যবহার করতে হবে এছাড়াও কান কোন ধরনের অঙ্, কানের ব্যথার ড্রপের নাম কানের হোমিও ঔষধ কিভাবে কানের ব্যথা কমানো যায় সেই সকল বিষয় নিয়েও আমরা এখানে আলোচনা করেছি এই সকল তথ্যগুলো জানতে হলে আমাদের সাথে থাকুন এবং পোস্টটি দয়া করে সম্পূর্ণ পড়ুন।

কান কোন ধরনের অঙ্গ

কান বা কর্ণ হলো পৃথিবীর সকল প্রাণীর শ্রবন অঙ্গ।এই কর্ণ বা কান সকল স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রেও কাজ করে থাকে।কান মানুষের দেহ একটি বিশেষ অঙ্গ।মানবদেহে মোট পাঁচটি ইন্দ্রিয় আছে তার মধ্যে কান অন্যতম।কান সাধারণত মানব দেহের মাথার দুই পাশে থাকে। কান দ্বারা সকল প্রাণী এবং মানব জাতি শ্রবণ করে থাকে।এই কানের মাধ্যমে আমরা বহিরাগত শব্দ শুনতে পাই।তাই আমরা এটিকে সাধারণত ও  শ্রবণেন্দ্রিয় নামে আখ্যায়িত করে থাকে।আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা কানকে অনেক অবহেলা করে।এই অবহেলার কারণে অনেক রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

কানে কোন কোন ধরনের রোগ হতে পারে

আমাদের কানে বিভিন্ন ধরনের রোগী আক্রান্ত হতে পারে তার মধ্যে প্রধান কিছু রোগ হলো,কানে ব্যথা হওয়া কান দিয়ে পুজ করা পড়া এবংকানে কম শোনা ইত্যাদি।
ছোট বাচ্চাদের কান ব্যথা হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা।এই কানে ব্যথা হওয়া ছোট শিশুদের সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে।পৃথিবীতে খুব কম সংখ্যক বাচ্চা আছে যাদের এই অভিজ্ঞতা হয় নাই।কানের এই ইনফেকশন থেকে শিশুদের কান পাকা রোগের সৃষ্টি হয়ে থাকে।ছোট শিশুদের কানের ইনফেকশন এর চিকিৎসা যদি সঠিক মত না করা হয় তা বা যদি ঘন ঘন ইনফেকশন হতে থাকে এই ইনফেকশন হওয়ার পরে তাদের কানের পর্দা ফেটে যাওয়া সম্ভাবনা অনেক বেশি।এই ইনফেকশনের সাথে যদি নাকের প্রদাহ অথবা ক্রনিক টনসিল ও এডেনয়েড সমস্যা যুক্ত হয় তাহলে কানের পর্দা ক্রনিক আকারে ফেটে যাওয়া ঝুঁকি থাকে।এ সকল রোগের কান দিয়ে পুজ ও পানি আস্তে আস্তে কানে ব্যথা শুরু হয়।ফলে তারা আস্তে আস্তে কানে কম শুনতে শুরু করে
এর কারণে তাদের মাথা ব্যথার শুরু হয়ে যায় ।আর কানের ইনফেকশনের সাথে মাথা ব্যথার যোগ সূত্র রয়েছে।অনেকেই আছে গ্রামে পুকুর জলাশয় নদী এগুলোতে গোসল করে কিন্তু এগুলোর পানি অত্যন্ত ময়লা বা বিষাক্ত হওয়ার কারণে কানের সমস্যা অধিক আকারে দেখা দেয়

 কানের ড্রপের নাম ও ব্যথার ওষুধ

  • ক্যান্ডিসটিন ইয়ার ড্রপ:কান যদি পেকে যায়,কান দিয়ে পুজ পড়লে কানের মধ্যে ভু ভু আওয়াজ করলে এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়।
  • Gento -HC Ear Drops:এই ওষুধটি সাধারণত কানের চুলকানি বা কানের ইনফেকশন হয়ে থাকলে এটি ব্যবহার করা হয়।
  • Audicare Ear Drops:ওষুধটি মূলত কানের ইনফেকশনের জন্য ব্যবহার করা হয় যেমন  কান পাকা,কান দিয়ে পুঁজ হওয়া ওকানে চুলকানি হলে সেই ওষুধটির ব্যবহার হয়।
  • জেন্টাব্যাক এইচসি ইয়ার ড্রপ:মূলত এর কাজ হল কানে ইনফেকশন হলে সেটি  সারিয়ে  তোলা।
  • সিপ্রোসিন ড্রপ:এই ওষুধটি দুটি কাজে ব্যবহৃত হয় এক চোখেরও কানের।
  • Clarizol Ear Drop:এই ওষুধটি দুই ধরনের কাজ করে থাকে যেমন কান পাকলে অথবা কান দিয়ে পুঁজ বের হলে ।
  • Waxsol Ear Drop এটির কাজ হলো কানের খৈল ও ময়লা দূর করতে সাহায্য করা।
  • আমাদের কানে যদি কখনো তীব্র ব্যথা হয় বা আমরা হালকা ব্যথা অনুভব করি তাহলে গরম পানির বা অথবা ঠান্ডা পানি দিয়ে নরম কাপড় নিয়ে সেটিতে সেক দিলে এটা মূলত ঠিক হয়ে যাবে।এরসাথে প্যারাসিটামল জাতীয় ব্যথা নাশক ওষুধ সেবন করতে পারেন 

কানের ইনফেকশনের ঔষধের নাম 

কানের ড্রপের মধ্যে ২টা ড্রপ কানের ইনফেকশনের চিকিৎসার জন্য ভালো সেই ড্রপ গুলো হলো সিপোফ্লক্রাসিন এবং ডেক্রামেথাসোন।কানের ইনফেকশনের জন্য প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিদের সবচেয়ে পছন্দের এন্টিবায়োটিক হলো অ্যামোক্রিসিলিন।

কান পাকার ওষুধের নাম কি

দুইটি ওষুধ ব্যবহার করা হয় কান পাকার জন্য আর সেই দুইটির নাম হলো:
  • A- fenac-k 25/50mg
  • Cataflam 50mg

কানের এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম

কানের এন্টিবায়োটিক হিসেবে মূলত তিন ধরনের ওষুধ আমরা ব্যবহার করতে পারি সেগুলো হলো: 

  • Lomefloxacin
প্রতিদিন ১টা.....খাবার পরে..৭দিন

  • Roxitromycin 150/300mg

প্রতিদিন ১টা..খাবার পরে..৭দিন

  •  Cefaclor 250/500 mg

প্রতিদিন ৩টা করে..খাবার পরে.... ৭দিন

 আশা করা যায় এই তিনটি ওষুধ খেলেই কানের ব্যথা দূর হয়ে যাবে।

কানের ব্যাথার হোমিও ঔষধের নাম 

হোমিও চিকিৎসা মূলত হলো একটি লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা। মূলত এর ওষুধ নির্ধারণ করা হয় লক্ষণের উপর ভিত্তি করে। আমরা নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হলো। এছাড়াও আরো ওষুধ সেটি তার লক্ষণের উপর নির্ধারণ করে। 

একোনাইট:

যখন কোন ব্যক্তির হঠাৎ করে ঠান্ডা লেগে যায় এবং এর জন্য যদি কান ব্যথা বা যন্ত্রণা করে। কানে যদি কটকট দপদপ করে এর সাথে ছটফটানি ও ভয় কাজ করে।কোন প্রকার উচ্চস্বরে শব্দ বা বাদ্যযন্ত্র সহ্য যায় না। 

ক্যামোমিলা 

সাধারণত কানের ভেতরে ব্যথা বা কটকটানি ব্যথা। এই কানের ব্যথা বাহিরে হাঁটলে উপশম হয় কিন্তু ঘরে ঢুকলেই ব্যথা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেয়ে যায়।আবার কেউ যদি শিশু কোলে নিয়ে হাটে তাহলে ব্যথা ভালো হয়ে যায়। 

বেলেডোনা:

এই ব্যথা হঠাৎ করে কিছুক্ষণের জন্য এসে তীব্র ব্যথা অনুভব হয় আবার কিছুক্ষণ পর আস্তে আস্তে সেটি চলে যায়।যদি কথা না বলে চুপ করে থাকা যায় তাহলে ব্যথাটি উপশম হয়,কথা বলার সাথে সাথে এই ব্যথা আবার বৃদ্ধি পায়। এমনভাবে ব্যথা হতে থাকে কারো কথা শুনতে ভালো লাগে না। 

পালসেটিলা 

এটি মূলত ভয়ানক কানের ব্যথাতে কাজ করে। কানে যদি দপদপ বা কান দিয়ে পুজ বের হয় আর এটি যদি হালকা ঘন  এবং হলদে বা সবুজ রঙের।এটি মূলত মহিলাদের  কানের ব্যথাতে কাজ কার্যকর 

কানের ব্যাথা কমানোর উপায় 

শীতকালে অনেক সময় কম ঠান্ডাতেই কানের ব্যাথা হতে পারে।ব্যাথা কান পর্যন্ত না থেকে মাথা পর্যন্ত যেতে পারে।এই ব্যাথা সমাধান পাবেন নিজের রান্না ঘরেই
√দুই চামচ তিলের তেলের মধ্যে একটি রসুন থেতো করে চুলায় কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন।এই তেল ঠান্ডা করে দুই থেকে তিন ফোটা কানে দিন।
√গরম জলের বোতল তোয়ালে জড়িয়ে কানের ব্যাথার জায়গায় চেপে ধরে রাখুন।
√আদা থেঁতো করে রস ২-৩ ফোটা কানে ঢেলে দিন তাহলে আরাম পাবেন।
√তুলসি পাতা বেটে ২-৩ ফোঁটা রস কানে 

কানের ইনফেকশনের লক্ষ্মণ

>কানের মধ্যে পুজ হওয়া
>কানে ব্যাথা হওয়া
>কানে চাপ অনুভূত হওয়া
>কম শুনতে পাওয়া
>কানের মধ্যে অস্বস্তি হওয়া
 
মূল কথা হলো আমরা কানের ইনফেকশনের জন্য কোন ঔষধ ব্যাবহার করবো তা নির্ভর করবে কানে কোন ধরনের রোগ হয়েছে তার ওপর। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১