কলা খাওয়ার সমস্ত উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো কি কি

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক বন্ধু। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আপনারা সবাই কি কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো কি কি  এই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। কিন্তু কোথাও এর সঠিক উত্তরটি খুঁজে পাচ্ছেন না। এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আমরা জানতে পারবো কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো কি কি। সকল সঠিক তথ্য জানতে হলে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
কলা  খাওয়ার সমস্ত উপকারিতা ও অপকারিতা  গুলো কি কি বিস্তারিত জানতে পোস্ট টি দেখুন



এছাড়াও এই পোস্টটিতে আমরা আরো জানতে পারবো গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা,কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা,রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা,কলা খেলে কি ওজন বাড়ে,খালি পেটে কলা খেলে কি হয়এই সকল বিষয়ে আমরা সঠিক তথ্যটি জানবো এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা এই সকল সঠিক তথ্য গুলো জানার জন্য পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়িঃ

কলা কি ও কত  প্রকার কি কি ?

কলা এমন একটি ফল যা প্রায় দুটো পৃথিবী জুড়ে এটির জনপ্রিয়তা রয়েছে। যেসব দেশের জলবায়ু উষ্ণ সেই সকল দেশে কলার চাষ করা সবচাইতে উত্তম কারণ এইসব উষ্ণ দেশে কলা চাষের সবচেয়ে ভালো হয়। আমাদের এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলেই কলার প্রথম উৎপত্তিস্থান হিসেবে সকলেই বিবেচনা করে।

 পৃথিবীর সকল দেশসহ আমাদের বাংলাদেশেও অন্যতম প্রধান ফল হল এই কলা। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় গলার চাষ হয়ে থাকে তবে সবচাইতে বেশি চাষ হয় রংপুর কুষ্টিয়ার ঝিনাইদহ নরসিংদী ময়মনসিংহ যশোর রাসায়নিক ইত্যাদি এলাকায় শত শত বছরের ধরে মানুষ এই কলার চাষাবাদ করে আসছে এবং লাভ করছে। 

বাংলাদেশে এই ফলের চাষের অন্যতম কারণ হলো প্রায় সারা বছর উঁচু এলাকায় বা উচু জমিতে এর চাষ করা যায়। আমাদের দেশের পার্বতী এলাকায় বাংলা কলা বন কলা এবং মামা কলা নামে বিভিন্ন ধরনের বুনো জাত কলা চাষ করা হয়।

 এ এলাকা ভিত্তি হিসেবে নাম হয়ে থাকে কলার বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে কলা কে ডাকা হয়। ল্যাটিন আমেরিকার কলম্বিয়া সহ আরো দেশের প্রধান অর্থকারী ফল হল এই কলা। এমনকি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এটি প্রধান অর্থকরী ফসল হিসেবে গণ্য হয়। আমাদের দেশে প্রায় কলা বিভিন্ন রকমের রয়েছে তার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য কলা নাম হলো সাগর কলা , জিন কলা , সুপ্রি কলা , আনাজি কলা , অনুপম কলা , বিচি কলা সহ ইত্যাদি আরো বিভিন্ন রকমের নামের এই কলা রয়েছে ।

গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় মহিলাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হয়। এই সময় মহিলাদের নিজেদের জীবনের সাথে সাথে আরও একটি জীবনের দায়িত্ব নিতে হয়। এই সময় মহিলাদের গর্ভে আরও একটি নিষ্পাপ প্রাণ জন্ম নেয় । আর সেই প্রাণকে পৃথিবীতে আসার আগ পর্যন্ত যথেষ্ট পরিমাণ যত্ন এবং সতর্কতার সাথে ভেতরে বড় করতে হয়। এই সময় খাবার বিষয়ে অনেকটা সচেতনা অবলম্বন করতে হয় । এই সময় মহিলাদের জন্য কোন খাবারটি উপকার এবং কোন খাবারটি খেলে তার ক্ষতি হতে পারে সেই বিষয়ে প্রথমে জেনে তারপরে তাকে খাবার খাওয়ার দরকার হয় । এইজন্য অনেকেই আছে যারা প্রেগনেন্সির সময় খাবারের তালিকা নিয়ে যথেষ্ট পরিমাণে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান যে কখন কি খেতে হবে কি হবে না। এই সময় অনেকেই আছে যারা ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায় সবকিছু করে থাকে তাদের জন্য ওটাই উত্তম। বিশেষজ্ঞদের মতে গর্ভাবস্থায় সবচাইতে উপকারী একটি ফল হল কলা । চলুন গর্ভাবস্থায় এর কি কি উপকারিতা হতে পারে সেগুলো জেনে নেইঃ
  • কলাতে রয়েছে ভিটামিন বি । আর এই ভিটামিন বি গর্ভবতী মহিলাদের বমি আটকানোর ক্ষেত্রে প্রাকৃতিকভাবে কাজ করে থাকে। এই সময় মহিলারা তাদের খাদ্য তালিকায় এই কলাকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে যার ফলে তার মর্নিং সিগনেস কমাতে অত্যন্ত উপকারী হিসেবে গণ্য হবে । অর্থাৎ কেউ সকালে মাথা ব্যাথা বা এসিডিটি বা অন্যান্য সমস্যা নিয়ে ঘুম থেকে ওঠা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট হয়ে যায়। তাই এগুলো থেকে মুক্তি পেতে এবং সতেজ ও সুস্থ, হতে হলে এসব লক্ষণগুলোকে দূর করতে হবে । কলার এই ভিটামিন আপনাকে সেই লক্ষণগুলো দূর করতে সাহায্য করবে ।
  • কলা কিন্তু গর্ভবতী মহিলাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেকটা সাহায্য করে । বাংলাতে ভিটামিন থাকার পাশাপাশি কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম । আর এই পটাশিয়াম  গর্ভবতী মহিলাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং তা বজায় রাখতে সাহায্য করে । কারণ গর্ভাবস্থায় মহিলাদের অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপ ওঠা নামা করতেই থাকে যা থামতে চায় না । এজন্য আপনি আপনি গর্ভবতী অবস্থায় নিয়মিত কলা খাওয়ার মাধ্যমে এই রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন ।
  • এই গর্ভাবস্থায় মহিলাদের দেহের আয়রন কমে যাওয়া বা কম থাকা একটি প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে । আর এই সমস্যার সমাধান করার ক্ষেত্রে কলা কিন্তু অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। কারণ কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন । যা গর্ভবতী মহিলাদের শক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করে থাকে । এই ফল খাদ্যের প্রাকৃতিক আয়রন সম্পর্ক হিসেবে কাজ করে থাকে । আপনার দেহের আয়রন বাড়ানোর জন্য গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন কলা খাওয়ার অভ্যাস করে তোলো ।
  • আমরা জানি ভিটামিন বি সিক্স, ফলিক এসিড এবং আইরন  আমাদের দেহের মস্তিষ্কে স্বাস্থ্য বিকাশের ক্ষেত্রে অনেকটা কাজীয় । আর এই সবগুলো উপাদান আমরা শুধুমাত্র একসাথে কলার মধ্যেই পেতে পারি । আর গর্ভেই শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে । আর শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটানোর জন্য হলেও গর্ভবতী মহিলাদের প্রতিদিন কলা খাওয়া উচিত ।
  • গর্ভবতী অবস্থায় মহিলাদের গ্যাসের সমস্যা সহ মুখ জ্বালা পোড়া করতে দেখা যায় । আপনার যদি গর্ভাবস্থায় এমন সমস্যা বা উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কলা খেতে পারেন । এগুলো থেকে সম্পূর্ণভাবে তো মুক্তি পাওয়া যায় না সামান্য কিছু স্বস্তি পাওয়ার জন্য কলা আপনার কাজে আসবে । কারণ কলা আমাদের খাদ্য নালী এবং পাকস্থলীতে অম্লতার মাত্রা কমাতে পারে । আর এইমাত্র কমানোর সাথে সাথে আপনার জ্বালাপোড়াটা একটু হলেও কমবে ।

কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

কলা আমরা সারাবছর খেতে পারি । আর এটি অল্প টাকাতেও বেশি পুষ্টির এমন একটি ফল। বড় থেকে শুরু করে ছোট পর্যন্ত প্রায় সকলেই এই ফল খেতে পারি এবং এমনকি শিশুরাও খেতে পারে। এটি আমাদের উচ্চ রক্তচাপ অর্থাৎ ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও এটি আমাদের হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করতে পারে চলুন এই সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানি যে কলা খাওয়ার ফলে আমাদের কি কি উপকারিতা হতে পারেঃ
  • কলাতে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম । আর এই ক্যালসিয়াম আমাদের দেহের হাড়কে শক্ত করার পাশাপাশি দৃঢ় এবং উন্নত করতে পারে। শুধু যে আমাদের দেহের হার কি শক্ত বা মজুদ করে এমনটা না আমাদের দাঁতের জন্য এই উপাদানটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয।
  • কোন ব্যক্তি যদি নিয়মিত কলা খেতে পারে তাহলে তার ইমিউনিটি সিস্টেম অর্থাৎ দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এর মূল কারণ হলো কলাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নামক ফ্লাবুনয়েড এক ধরনের উপাদান। উপাদানটি প্রায় সম্পূর্ণ ফ্রিতে আমাদের দেহের রেডিকেলকমাতে এবং শরীরের কোষ গুলোকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস  তারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেয় না ।
  • এছাড়াও এইখানে রয়েছে ভিটামিন সি  ই এবং এ । আর এই ভিটামিন গুলো আমাদের দেহের বিভিন্ন রোগের সাথে লড়াই করে এবং আমাদের দেহকে একপ্রকার শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রদান করে।
  • কলাতে একপ্রকার মিনারেল রয়েছে যার অর্থাৎ এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। আর পটাশিয়াম আমাদের দেহের উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে প্রচন্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা প্রতিদিন শরীরপত্র দরকার ব্যায়াম করেন এবং খেলাধুলা করতে অনেক পছন্দ করে। আর তাদের জন্য কলা হলো একটি উত্তম ফল যাদের প্রচুর শক্তি প্রদান করে। আর এই ফলটি তারা অত্যন্ত পছন্দ করে কারণ এই সময়ে শরীর থেকে প্রচন্ড পরিমাণে ঘাম বেরিয়ে যায়। আর  ইলেকট্রোলাইটোস দেহ থেকে বের হয়ে যায় । এছাড়াও কলাতে রয়েছে ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম ফসফরাসসহ আরো না ধরনের উপাদান।
  • আর মূলত কলা সর্বোচ্চ ব্যবহৃত হয় যখন মানুষের পেটের সমস্যায় বা পেট খারাপ হয় । এই সময় কাছে কাচা  কলা পেটের জন্য অত্যন্ত উপকারী ।
  • কলাতে যে পরিমাণ ক্যালরি বা প্রোটিন রয়েছে তা অন্যান্য ফলের তুলনায়। এই জন্য কোন ব্যক্তির যদি ওজন বাড়ানোর কথা চলে তাহলে তাকে কলা খাওয়ার উপায় দেওয়া হয়।
  • তলাতে একপ্রকার লেক্টিক নামক প্রোটিন পাওয়া যায়। যা মূলত আমাদের দেহের ক্যান্সার সৃষ্টিকারী লিকুমিনিয়া রোধ করতে সাহায্য করে ।

কলা খাওয়ার যেসব অপকারিতা রয়েছে এখন আমরা সেগুলো সম্পর্কে জানব । কলার উপকারিতা উপকারিতাই বেশি। চলুন জানা যাক এর অপকারিতা গুলো কি কি রয়েছে সেগুলো আমরা বিস্তারিত জানবঃ
  • আপনারা কখনোই রাতের বেলা কলা খাবেন না কেন কেননা রাতের বেলা কলা খেলে অনিদ্রা সমস্যা হতে পারে।
  • যে সকল ব্যক্তির ঠান্ডা জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের কলা থেকে দূরে থাকায় উত্তম । এর কারণ হলো কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ঠান্ডার প্রবণতা । এটি সম্পূর্ণ শিশুদের ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে । কারণ শিশুদের অল্পতেই ঠান্ডা লেগে যায়।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে কেউ যদি প্রতিদিন কলা খেতে থাকে তাহলে তার ওজন অত্যাধিক আকারে বেড়ে যাবে। 
  • কলাতে যে শুধু পরিমাণে ভিটামিন থাকে তা নয় গলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং সুগার। যার ফলে দাঁতের সমস্যা হতে পারে  ।

রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা

আমরা সবাই জানি সব সময় ফল ভরা পেটে খেতে হয় অর্থাৎ খাবার পরেই ফল খাওয়া উত্তম । খালি পেটে ফল খেলে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সচরাচর ধরা পেটে ফল খাওয়া হয়। আর মানুষ রাত্রে একটু শান্তি মতো ঘুমানোর জন্য অথবা নিজের মনকে একটু আরাম দেওয়ার অর্থাৎ একটু প্রশান্তি রাখার জন্য এমন খাবার অথবা পরিবেশ বেছে নেয় যেটাতে সে অনেকটা শান্তি অনুভব করে তেমনটাই বেছে নেওয়ার চেষ্টা করে ।


 অনেকেই আছে যারা রাখতে চা খেতে পছন্দ করে আবার অনেকে আছে বই পড়তে পছন্দ করে । আবার অনেকেই আছে যারা কিছু খাবার বেছে নেয় যেগুলো সে রাত্রে খাওয়ার ফলে তো সাহায্য করেই বরং এর পাশাপাশি তার ঘুম ভালো হওয়ার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখে । 

পৃথিবীর বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে জানিয়েছে যে রাত্রে ঘুমানোর আগে কেউ যদি কলা খায় তাহলে তার মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতাকে কমানোর বা ইচ্ছা পূরণ করার পাশাপাশি তাকে প্রাকৃতিকভাবে আরামদায়ক একটি রাত্রি উপহার দিতে কলা অত্যন্ত পরিমাণ ভূমিকা রাখে । রাত্রে মানুষ কাজ একটু কম করতে চাই এবং তাড়াতাড়ি ঘুমানোর চেষ্টা করে ।

 সেই ক্ষেত্রে রাত্রে ঘুমানোর আগে চা বা অন্যান্য জিনিস বেছে নিতে হলেও অনেক কাজ করতে হয়  ।এ থেকে সবচাইতে সহজ মাধ্যম হলো ফলের ঝুড়ি নিয়ে কলা খাওয়া । কেননা কলাতে রয়েছে ট্রিপট্রোফ্যান নামক এক ধরনের উপাদান । আর এই উপাদানটি আমাদের ঘুমানোর জন্য বা ঘুম ভালো হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটা কাজও একটি উপাদান ।

 এই উপাদানটি হলো সেরেটোনিনের অগ্রদূত আর এর কাজ হল স্নায়ুর সংবেদন সৃষ্টিকারী একমাত্র উপাদান। এটি আমাদেরকে আরাম দেওয়ার পাশাপাশি মন কেউ অনেকটা ভালো রাখে । কলা খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের দেহক আরামদায়ক হওয়ার পাশাপাশি ভালো ঘুম এর জন্য যেসব রাসায়নিক উপাদান প্রয়োজন সেগুলো সবগুলোই কলার মধ্যে পাওয়া যায়। 

এছাড়াও খাতে রয়েছে পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এর মত বিশেষ উপাদান । যা আমাদের পেশিকে আরাম দিতে নিয়োজিত । আর সচরাচর একটি সমস্যা দেখা যায় সেটি হল ঘুমের মধ্যে বেশি টান এটি একটি পরিচিত একটি সমস্যা । আর এই সমস্যা থেকে একমাত্র সহজ ভাবে মুক্তি পাওয়ার উপায় হল প্রতিদিন রাত্রে কলা খাওয়া ঘুমানোর আগে । 

এছাড়াও কলাতে রয়েছে এমন একটি উপাদান যা আমাদের রক্তের শর্করা করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে । কলাতে রয়েছে কার্বোহাইডেট । বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন যে এই শর্করা আমাদের দেহের ধীরে ধীরে শক্তিকে নিঃসৃত করতে পারে যা আমাদের রক্তের শতকরা মাত্রা বাড়াতে বাধা দেয় । 

তাহলে তাকে প্রতিদিন রাত্রে ঘুমানোর আগে কলা খেতে হবে।  কারণ ঘুমানোর আগে কলা খেলে আমাদের শরীরকে ঘুমের জন্য প্রস্তুত করে এবং সাংস্কৃতিক সংকেত দিয়ে বিশ্রামের নিতে যাচ্ছি এমনটা বুঝায় যার ফলে ভালো একটি ঘুম হয় ।

কলা খেলে কি ওজন বাড়ে

আমরা সবাই জানি কলা অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি ফল । যা মানুষের দেহে বিভিন্ন উপকার হিসেবে কাজ করে ।। এরই মধ্যে অনেকে আছে যারা মনে করেন যে নিয়মিত যদি কোন ব্যক্তি কলা খায় তাহলে তার দেহের ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে । আবার অনেকেই মনে করে যে কলাতে ওজন বাড়ানোর কোন ক্ষমতা নেই । পৃথিবীর পুষ্টিবিদ্যারা বেশিরভাগ ডাইটিসিয়ান এবং পুষ্টিবিদ প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা কলা রাখার পরামর্শ দেন । কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা এছাড়াও রয়েছে ক্যালরি অধিক পরিমাণে । আর এর ফলে যে সকল ব্যক্তি আপনি নিজেদের ওজন বাড়াতে চায় তাদের উদ্দিন কলা খাওয়া উচিত । কিন্তু কলার মধ্যে কিন্তু অনেক পুষ্টি ও রয়েছে । আর এগুলোর মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন বি সিক্স সহ ম্যাঙ্গানিজ । আর আমাদের খাবার হজমের ক্ষেত্রে কলা অত্যন্ত উপকারী একটি ফল কেননা কলাতে রয়েছে ফাইবার নামক এক ধরনের উপাদানটা আমাদের খাদ্য হজমে অনেকটা সাহায্য করে । যার ফলে খাবার খাওয়ার প্রবণতা অনেকটা কমে যায় পেট ভরা ভরা মনে হয় যার ফলে ওজনটা নিয়ন্ত্রণ থাকতে পারে । তাই বলা যায় আপনারা সবাই কলা খাবার আগে আপনি কোন দিকটা নিতে চাচ্ছেন অর্থাৎ আপনি ওজন বাড়াতে যাচ্ছেন না ওজন কমাতে যাচ্ছেন সেই দিকে বিবেচনা করে কলা খেতে থাকবেন । যদি শুধুমাত্র শক্তি নিতে চান তাহলে আপনি জিম অথবা কোন কাজের আগে কলা খেয়ে কাজ করতে পারেন যার ফলে আপনার দেহে কলা শক্তি প্রোভাইড করবেন । আর যে সকল ব্যক্তি তাদের ওজন বাড়াতে চান তারা নিয়মিত প্রতিদিন সকালে এবং রাত্রে কলা খাবেন ।

খালি পেটে কলা খেলে কি হয়

আমাদের সবার উচিত সবসময় ফল ভরা পেটে খাওয়া  । কেননা খালি পেটে কখনোই ফল খেতে হয় না। এই কথাটি শুধু আমরা না এই কথাটি বিজ্ঞানী রাও পরীক্ষার মাধ্যমে সত্যতা যাচাই করেছেন যে কখনই খালি পেটে যে কোন ফলই খাওয়া মোটেও ঠিক না ।

আর সেই দিক থেকে খেয়াল করলে কলাও খালি পেটে খাওয়া উচিত নয় । কারণ গলায় থাকে এসিড ও পটাশিয়াম । যার ফলে কেউ যদি খালি পেটে এই কলা খেয়ে তাহলে তার এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে।
এর সাথে সাথে তার বদ হজম  সমস্যা দেখা দিতে পারে । এছাড়াও বলাতে যে ক্যালসিয়াম রয়েছে তা মানব দেহের রক্তের ক্যালসিয়াম বা ম্যাগনেসিয়াম এর মধ্যে ভারসাম্যহীনতা বা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে । এর ফলে আমাদের কার্ডিওভাসকুলার পদ্ধতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে  । কিন্তু আপনি যদি কোন শুকনো ফলের সাথে অর্থাৎ আপেল বা এরকম জাতীয় কোন ফলের সাথে মিশিয়ে খান এর এসিডের পরিমাণ হ্রাস করতে পারে । 

মূল কথা

কলা এমন একটি ফল যা মানুষের দেহের সাথে মানুষের মানসিক এবং বিভিন্নভাবে দেহের উন্নতি করতে । আমরা উপরে আলোচনা করেছি যে কলাতে কোন কোন ধরনের ভিটামিন এবং রাসায়নিক উপাদান রয়েছে।

আর প্রায় সকল উপাদানে আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত অত্যাবশ্যকীয় একটি উপাদান । যার ফলে আমাদের দেহের শক্তি সঞ্চার সহ আরো বিভিন্ন কাজ সম্পাদনের সক্ষম । তাই বলতে পারি যে কলা আপনি নির্দ্বিধায় খেতে পারেন কিন্তু আপনাকে এর সাথে একটু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে কেননা আমরা জানি যে কোন কিছুই আমাদের দেহের জন্য অতিরিক্ত ভালো না ।

তাই আমাদের উচিত যে সতর্কতা অবলম্বন করার সাথে সাথে দেহের যেন কোন ক্ষতি না হয় সে অনুপাতে কলা খেতে হবে । কলা যে শুধু আমাদের দেহের উন্নতি করে তা না এছাড়াও আমাদের মানসিক প্রশান্তির সহকারে ঘুম এবং আর অন্যান্য দেহের রক্ত সঞ্চালনার ক্ষেত্রে রক্ত ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আরো বিভিন্ন কাজে সহায়তা করে ।

 আশা করা যায় আপনারা এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে কল আর যেসব গুণ পুষ্টিএবং  যেসব ক্ষতিকর দিক রয়েছে সবকিছু জানতে পেরেছেন আমাদের ওয়েবসাইটে আরো বিভিন্ন ধরনের ফলের উপকারিতা সম্পর্কে বিবরণ দেওয়া আছে আশা করা যায় আপনারা সকলে পড়বেন এবং আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১